Search Icon

Bangladesh এর এলাকাগুলি ঘুরে দেখুন

306টি এলাকার মধ্যে 234 - 252টি
পাবনা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

পাবনা
, রাজশাহী

পাবনা জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মনোরম জেলা। এটি সমৃদ্ধ ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং গতিশীল অর্থনীতির জন্য খুবই পরিচিত একটি এলাকা। পদ্মা ও যমুনা নদী অববাহিকায় অবস্থান করায় কৃষি ও মৎস্য এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও এই জেলা অনন্য।<br><br> জেলাটি উত্তরে নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে রাজবাড়ি ও কুষ্টিয়া জেলা, পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলা দ্বারা বেষ্টিত। ঈশ্বরদী জংশন এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এই জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও, ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রকিয়াকরণ অঞ্চল, বস্ত্রশিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। <br><br> পাবনা জেলা হস্তচালিত তাঁত শিল্প এবং বিশেষ করে শাড়ি ও লুঙ্গির জন্য বিখ্যাত। প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ ও বিভিন্ন সবজি রয়েছে। এই জেলা দুগ্ধ চাষ ও দুধ উৎপাদনের জন্যও পরিচিত। এখানে কয়েকটি ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাবনা সুগার মিলস এই অঞ্চলের অন্যতম বিশিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান। <br><br> এই জেলা মৌর্য, গুপ্ত এবং পাল রাজবংশের শাসনকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ছিলো। ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে এই অঞ্চল নীল চাষের জন্য বিখ্যাত ছিলো। উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এডওয়ার্ড কলেজ এবং ক্যাডেট কলেজ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মানসিক হাসপাতালের মতো উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। <br><br> এই জেলা থেকে সড়ক, রেলপথ ও নদীপথের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানের যাওয়া যায়। পাবনা থেকে বাস-রুটগুলো দেশের প্রধান শহর ও জনপদের সাথে সংযুক্ত। এটি একটি তীর্থস্থান ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি এলাকা, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গ্রামীণ পরিবেশের অনন্য দৃশ্য উপভোগ করা যায়। <br><br> তবে এই জেলার প্রধান সমস্যা হলো বন্যা ও নদীভাঙন। জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। পাবনা পর্যটকদের জন্য নিরাপদ এবং এখানকার মানুষ বেশ ধর্মপরায়ণ।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
পাবলা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

পাবলা
, খুলনা

পাবলা বাংলাদেশের খুলনা জেলার খানজাহান আলী থানার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজিক, অর্থনৈতিক এবং যোগাযোগ কেন্দ্র। এলাকাটি জাহাজ নির্মাণ, চিংড়ি চাষ এবং বস্র শিল্পের জন্য পরিচিত। এটি শিল্প, কৃষি ও প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। <br><br> পাবলার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চিংড়ি মাছ ও কৃষি। এলাকাটি নদী, খাল ও জলাভূমি পরিবেষ্টিত, যা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত। এখানকার উর্বর পলিমাটি কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। স্থানীয় পাইকারি ব্যবসা, কাঁচাবাজার এবং বাণিজিক কার্যক্রম খুলনার অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। বেশিরভাগ স্থানীয় মানুষ কৃষি, মৎস এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত। <br><br> যশোর হাইওয়ে রোড, আউটার বাইপাস রোড এবং খুলনা সিটি বাইপাস রোড এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে। রূপসা এবং ভৈরব নদী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানকার প্রধান রাস্তা থেকে দেশের প্রধান শহরগুলোর জন্য বাস সার্ভিস পাওয়া যায়। মংলা বন্দরের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এ এলাকার মহাসড়কের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু এবং খানজাহান আলী সেতুও এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রেখেছে। <br><br> সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, ফকির লালন শাহের মাজার, ‘৭১-এর গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ মিউজিয়াম, খানজাহান আলীর সমাধি ও সেতু-এগুলোর নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এলাকায় অনেক পর্যটক আসে। ভ্রমণকারীদের থাকার জন্য এখানে বেশ কিছু হোটেল আছে। <br><br> সবুজ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঘেরা এই এলাকা বসবাসের জন্য অত্যন্ত আরামদায়ক। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা সেবা, ব্যাংকিং, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক সুবিধা এবং ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানে নিয়মিতভাবে আবাসিক ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মিত হচ্ছে। <br><br> পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পাবলায় পরিবহন নেটওয়ার্ক, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক সেবা যেমন পরিষ্কার পানি, বিদ্যুৎ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। পাবলার সংস্কৃতি, রঙিন বাজার এবং স্থানীয় খাবার যেমন চুই ঝাল আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখানকার অতিথিপরায়ণ মানুষ এই এলাকাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ফেনী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

ফেনী
, চট্টগ্রাম

ফেনী চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই শহরটি বাণিজ্য ও বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি মুহুরী এবং ফেনী নদীর দ্বারা বেষ্টিত। এই জেলার খন্দল মিষ্টি অত্যন্ত বিখ্যাত। এখানে জলবায়ু আর্দ্র, তবে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।<br><br> জেলাটি পশ্চিমে নোয়াখালী, পূর্বে চট্টগ্রাম, উত্তরে কুমিল্লা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ। এটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার সংযোগের একমাত্র সড়কপথ। এই জেলায় একটি রেলস্টেশন রয়েছে যা এটিকে প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে।<br><br> ফেনী গ্যাসক্ষেত্র দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম পরিবহন করিডোর এবং ছাগলনাইয়া সীমান্ত এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং অর্থনীতিতে অনেক অবদান রেখেছে। ধান, ডাল, পান, বিভিন্ন ফল এবং মাছ চাষের জন্য এই জেলা পরিচিত।<br><br> যদিও তুলনামূলকভাবে ছোট জেলা, তবে এখানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কারিগরি ইনস্টিটিউট এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এখানে স্বাস্থ্যসেবার সুবিধাও বেশ ভালো। এই জেলার নামকরণ ফেনী নদীর নামে করা হয়েছে, যা কৃষি, মৎস্য এবং জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উন্নত করেছে। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, খনিজ সম্পদ এবং সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি স্থান। জেলার উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে মুহুরী প্রকল্প (দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প) এবং বিজয় সিং দিঘি (দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক দিঘিগুলোর একটি) অন্তর্ভুক্ত।<br><br> সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই শহরে আরও শিল্প কারখানা, পরিকল্পিত আবাসিক ভবন এবং বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ দেখা গেছে। এখানে ছোট থেকে মাঝারি আকারের বিভিন্ন শিল্প গড়ে উঠেছে, যেমন ধানের মিল, বস্ত্র কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এবং মাছ প্রজনন কেন্দ্র। তবে ফেনীর ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হওয়া প্রয়োজন।<br><br> ফেনী এমন একটি জেলা যেখানে গ্রামীণ পরিবেশ এবং আধুনিকতার একটি অসাধারণ মিশ্রণ দেখা যায়। তবে ফেনী যখন বিকশিত হচ্ছে, তখন এটি টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বছরের পর বছর ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবাসন প্রকল্প এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। তবে এর ফলে বন উজাড়, কৃষিজমি হ্রাস, বায়ু দূষণ ইত্যাদির মতো পরিবেশগত প্রভাব দেখা দিয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বগুড়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

বগুড়া
, রাজশাহী

বগুড়া বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। কৃষি, অর্থনীতি, যোগাযোগ এবং শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে এই জেলার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটি মহাস্থানগড়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। বগুড়া তার দই, কাট্টক্তি (মিষ্টি) এবং ঘি-এর জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে বিপুল পরিমান ধান, আলু শাকসবজি এবং পাট উৎপাদিত হয়, যা সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। উর্বর জমির কারণে “বাংলার শস্যভান্ডার” নামেও পরিচিত।<br><br> শহরের সাতমাথা, বনানী বাজার এবং নিউ মার্কেট এলাকায় রয়েছে অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, শপিং মল, সুপারশপ, রেস্টুরেন্ট এবং ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান।<br><br> বগুড়ার অর্থনীতি বৈচিত্রময়। এখানে সিমেন্ট, ইট, বালু নির্মাণ সামগ্রী, টেক্সটাইল এবং হস্ত শিল্পের মতো শিল্প ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, এই জেলার অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্টান (এসএমই) রয়েছে, যা স্থানীয় এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।<br><br> বগুড়া সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত। রেলওয়ে নেটওয়ার্ক শহরটিকে ঢাকা, রাজশাহী এবং রংপুরসহ প্রধান শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। এন৫ হাইওয়ে বগুড়াকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর এবং উত্তরাঞ্চলের অন্যান জেলার সঙ্গেও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।<br><br> বগুড়া পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান। মহাস্থানগড়, গোকুল মেধ এবং বসু বিহার প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এছাড়াও, খেরুয়া মসজিদ এবং নবাব প্যালেস মুঘল আমলের স্থাপত্যশৈলীর উদাহরণ। এখানে বগুড়া জেলা স্কুল, বগুড়া সরকারি গার্লস হাই স্কুল, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এবং বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-এর মতো উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।<br><br> বগুড়ায় বিভিন্ন মানের আবাসনের সুযোগ রয়েছে। বগুড়ায় হোটেল নাজ গার্ডেন, হোটেল সিয়েস্তা, পর্যটন মোটেল এবং মোমো-ইন জনপ্রিয় হোটেল হিসেবে পরিচিত।<br><br> সর্বোপরি বলা যায়, বগুড়া উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বন্দর বাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

বন্দর বাজার
, সিলেট

Immersed in people and activities, Bandar Bazar is one of the busiest places in Sylhet. According to the Bandar Bazar area guide, it is located in the 14th ward of the Sylhet City Corporation. It is distinctively known as the location of Hawkers' Market, Hasan Market, and Karimullah Market. Besides, businesses and residential hotels always keep the environment in a rush. <br><br> When visiting Bandar Bazar for the first time, you will find yourself in alleys of shops and stores. Wherever you lay your eyes, you will see stalls everywhere. Their owners display plenty of products and call potential customers to catch their attention or are busy negotiating with them. <br><br> Whatever you want to purchase, clothing, handicrafts, household items, grocery items, you will find them. The Bazaar will never let you leave empty-handed. It will be a bonus for you if you are adept at bargaining. <br><br> Bandar Bazar, an important trading zone for Sylhet, has a rich past that is as old as several centuries. In addition, the establishments in the region share that past, reflecting the architectural background of the colonial era while boasting Sylhet’s own traditional legacies at the same time. <br><br> Seated at a crucial point of the city, Bandar Bazar offers its locals easy transportation to other areas. Also, the streets are swarmed with small food vendors offering traditional Sylheti foods. If you want to relax at a cafe or eat in a restaurant, you will also find them nearby. <br><br> And there is more. The place has several historical landmarks and recreational spots, making Bandar Bazar a delightful place to roam around.
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাকেরগঞ্জ প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

বাকেরগঞ্জ
, বরিশাল

বাকেরগঞ্জ বরিশাল জেলার একটি মনোরম উপজেলা। এটি কৃষিকাজ ও মাছ উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত। শ্রীমন্ত, কারখানা, বিঘাই, পায়রা ও বিষখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই জনবহুল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাণবন্ত ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এই এলাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।<br><br> বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে নদী ও সড়ক পথে দেশের সব উপজেলা এবং প্রায় সব জেলা শহরের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়। উপজেলার উত্তরে রয়েছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা ও বরিশাল সদর। দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা। পূর্বে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা ও ভোলা সদর। পশ্চিমে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলা এবং বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত।<br><br> বাকেরগঞ্জ উপজেলা সবুজ মাঠ ও নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত। এখানকার স্থানীয় অর্থনীতি মূলত কৃষি ও মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। এই এলাকার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এখানকার লোকজ উৎসব, হস্তশিল্প এবং মোগল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন যে কাউকে মুগ্ধ করবে। স্বাধীন বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের শাসনামলে ১৭৪১ সালে উমেদপুরের জমিদার আগা বাকের খান নিজের নামে এই অঞ্চলকে 'বাকেরগঞ্জ' নামে নামকরণ করেন।<br><br> প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি, বাকেরগঞ্জে রয়েছে বেশ কয়েকটি মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, ক্লিনিক, পার্ক ও স্থানীয় বাজার। এখানকার মানুষ মূলত কৃষি, মৎস্য খাত, পণ্য পরিবহন ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত। যারা শহরের কোলাহল থেকে দূরে গ্রামীণ শান্ত পরিবেশে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে বসবাস করতে চান, তাদের জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা একটি আদর্শ স্থান। গ্রামীণ জীবনের সাথে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মিশেল এখানে আপনাকে মুগ্ধ করবে।<br><br> বরিশাল বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও বাসস্ট্যান্ড এই এলাকার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক, বরিশাল-সুবিদখালী সড়ক এবং ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের মাধ্যমে দেশের প্রায় সব জেলা শহরের সঙ্গে বাকেরগঞ্জের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা আবাসন, কর্মসংস্থান ও ব্যবসার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে। আশপাশের এলাকার সঙ্গে সংযোগকারী সড়কগুলোর অবস্থাও যথেষ্ট উন্নত।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
বাংলাবাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

বাংলাবাজার
, বরিশাল

বাংলাবাজার বরিশাল জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি প্রাণবন্ত বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা। এটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, নদীবন্দর এবং মহাসড়ক রয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বাংলাবাজার এলাকা পণ্য পরিবহন, যোগাযোগ এবং কৃষিজ পণ্যের উৎপাদনের জন্য একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ ও কাঁচাবাজার পর্যন্ত সবকিছুই পাওয়া যায়।<br><br> বরিশাল বিমানবন্দর, নদীবন্দর এবং বাসস্ট্যান্ড এই এলাকার খুব কাছেই অবস্থিত। বঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক, সি অ্যান্ড বি রোড, বাংলাবাজার রোড এবং শহীদ আলী রোড এই এলাকাকে দেশের প্রায় সব জেলার সাথে সংযুক্ত করেছে। এর পশ্চিমে ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা, উত্তরে বরিশাল সদর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা, পূর্বে ভোলা ও নোয়াখালী জেলা এবং দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা অবস্থিত।<br><br> এই এলাকায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মতো উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া, আশেপাশে অনেক স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। এখানে কয়েকটি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক’ও রয়েছে। পাশাপাশি, লোকাল পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোও বেশ আকর্ষণীয়।<br><br> বাংলাবাজারের পরিবহন ব্যবস্থা বরিশাল জেলার অন্যান্য অংশ এবং সারা দেশের সাথে সড়ক ও নৌপথের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই এলাকার অর্থনীতি মূলত কৃষি, পণ্য পরিবহন এবং মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া, এখানে কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা সর্বদা ব্যস্ত থাকে। এই এলাকা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের জন্য পরিচিত।<br><br> নদী ও সবুজ প্রকৃতির মাঝখানে অবস্থিত বাংলাবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করবে। এখানকার রাস্তা, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত হলেও, ফুটপাত ও পার্কিং স্পেস সংকীর্ণ। নদীবন্দর, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ফলে প্রধান সড়কগুলো প্রায়ই যানজটে ভোগে।<br><br> বাংলাবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা আবাসন, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে উন্নত হওয়ার কারণে এখানে বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান। আশেপাশের এলাকার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কগুলোর অবস্থা’ও ভালো। কাছাকাছি পুলিশ স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে। তবে, যানজট, অতিরিক্ত অটোরিকশা এবং পরিবেশ দূষণ এখানকার প্রধান সমস্যা।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
, চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শহর। জেলাটি সু-উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কৃষি পণ্য এবং আমদানি-রপ্তানি রুট সহ প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যকলাপের একটি ব্যস্ত কেন্দ্র। নির্মল গ্রামীণ পরিবেশ, স্থানীয় হস্তশিল্প এবং প্রাণবন্ত বাজার থেকে শুরু করে আধুনিক স্থাপত্য, এবং বাণিজ্যিক পরিবেশ, আপনি এখানে সবই পাবেন।<br><br> ভৌগলিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত, যা এই অঞ্চলের কৃষি ও শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানকার ধান, পাট ও ফলের চাষ স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। দক্ষিণে মেঘনা নদী এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এই জেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। মসলিন কাপড় এবং চন্দ্রমুখী মিষ্টি এখানকার খুব বিখ্যাত।<br><br><br><br> এই জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা ও ফেনী জেলা এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। এ জেলার উপজেলাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কসবা, আখাউড়া, আশুগঞ্জ, বাঞ্ছারামপুর, বিজয়নগর, নাসিরনগর, নবীনগর ও সরাইল উপজেলা।<br><br> জাতীয় অর্থনীতিতে জেলার অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম। তিতাস, সালদা ও মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র এই জেলায় অবস্থিত। এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্র দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। এছাড়া আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া সার কারখানা। গার্মেন্টস শিল্প, চামড়া কারখানা, টেক্সটাইল, লোহার মিল, বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের স্থাপনা এবং কৃষিভিত্তিক প্লান্ট প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোও মানসম্মত।<br><br> সাংস্কৃতিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিকভাবে, শহরটি বিভিন্ন সভ্যতা এবং শাসকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন স্থাপত্য এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এলাকাটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ট্যাপেস্ট্রি এবং ঐতিহাসিক তাত্পর্যের একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।<br><br> অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প সংস্কৃতি এবং যোগাযোগের দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় জেলাটি ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। জেলাটি সড়ক ও রেলপথে সুসংযুক্ত। শহরটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হলেও গ্রামীণ এলাকায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোর অভাব রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রাঙ্গুনিয়া প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

রাঙ্গুনিয়া
, চট্টগ্রাম

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চট্টগ্রাম জেলায় তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এর বিশাল ভূমি এলাকা (প্রায় ৩৪৭.৭২ বর্গ কিলোমিটার) এবং জনসংখ্যা (৩.৪ লাখ)। এটি ভূমি আয়তনে ৬ তম বৃহত্তম উপজেলা এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ৯ তম, রাঙ্গুনিয়া এলাকা নির্দেশিকাকে সর্বাধিক চাওয়া-পাওয়া উপজেলাগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। <br><br> চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে একটু দূরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উত্তরে কাউখালী ও রাঙ্গামাটি উপজেলা এবং দক্ষিণে চন্দনাইশ উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলা এবং পূর্বে বান্দরবান সদর উপজেলা রয়েছে। এছাড়াও এর পশ্চিমে কাউখালী, রাঙ্গামাটি, রাউজান, পটিয়া এবং বোয়ালখালী উপজেলা রয়েছে। <br><br> সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে দেশের দক্ষিণে ভ্রমণের সময় রাঙ্গুনিয়া সবচেয়ে অ্যাক্সেসযোগ্য অবস্থানগুলির মধ্যে একটি। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কারণে মানুষ চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে এমনকি ঢাকা থেকেও সরাসরি উপজেলায় যাতায়াত করতে পারে। রাঙ্গুনিয়ার এলাকায় ভ্রমণের আরেকটি উপায় হল চন্দ্রঘনা ফেরি টার্মিনাল। যদিও এই এলাকায় রেলপথ নেই, তবে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশনগুলি হল পটিয়া উপজেলার ধলঘাট এবং পটিয়া রেলওয়ে স্টেশন। <br><br> রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর হলেও এর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপ-অঞ্চল রয়েছে, যেমন শিলোক, কোদালা, রানীরহাট, পদুয়া, ইত্যাদি। উপজেলার জলাশয় হল কর্ণফুলী নদী এবং ইছামতি নদী। যদিও এগুলো রাঙ্গুনিয়ার সৌন্দর্য বাড়ায়, বন্যা প্রায়ই এলাকা, রাস্তাঘাট এবং কৃষি জমির ক্ষতি করে। যেহেতু রাঙ্গুনিয়াকে দেশের একটি "প্রধান শস্যের উত্স" হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই এই ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়শই বড় আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়। <br><br> রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আশেপাশে অনেক উল্লেখযোগ্য স্থান ও পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু হল শেখ রাসেল এভিয়ারি এবং ইকো পার্ক, রামপাহাড়-সীতাপাহাড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কোদালা চা বাগান, এবং গয়ানাশরণ বৌদ্ধ মঠ। এছাড়াও নদী এলাকার কাছাকাছি বিভিন্ন নদী এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের একটি বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত। <br><br> উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। যাইহোক, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উত্সগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যবসা, বাণিজ্য, পরিষেবা, অ-কৃষি শ্রম এবং পরিবহন। যেহেতু এলাকাটি অনেক সম্ভাবনায় ভরা, রাঙ্গুনিয়া তার জীবনযাত্রার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
রুপসা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

রুপসা
, খুলনা

রূপসা, খুলনা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি উপজেলা। এটি রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রশাসনিক কার্যক্রম, কৃষি, বাণিজ্য, মৎস উৎপাদন, পণ্য পরিবহন এবং নৌ-রুটের জন্য এই উপজেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সরকারি-বেসরকারি অফিস, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, লাইব্রেরি, সিনেমা হল, এনজিও ইত্যাদি রয়েছে। এই উপজেলার একাংশ দিয়ে রূপসা নদীর আরেক উপনদী আঠারোবাঁকি বয়ে গেছে।<br><br> রূপসা উপজেলা উত্তরে তেরখাদা উপজেলা, দক্ষিণে ফকিরহাট ও বটিয়াঘাটা উপজেলা, পূর্বে মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলা এবং পশ্চিমে কোতোয়ালি ও খালিশপুর থানা দিয়ে পরিবেষ্টিত। উপজেলাটির সম্পূর্ণ আয়তন প্রায় ১২০.১৫ বর্গকিলোমিটার। এই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এখানে ৬৪টি মৌজা এবং ৭৫টি গ্রাম রয়েছে। ২০২২ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী এই উপজেলায় টোটাল জনসংখ্যা ২০৬,৭৪৮ জন।<br><br> রূপসা ফেরিঘাট, খুলনা শহর সহ দক্ষিণ-পশ্চমাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। যাতায়াত, কৃষি এবং বহুমুখী পণ্য পরিবহনের জন্য এই ঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও খান জাহান আলি ব্রিজ রূপসার সাথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ মাধ্যমকে করেছে আরো সহজতর।<br><br> রূপসা উপজেলার প্রধান সড়ক গুলো হলো - খুলনা সিটি বাইপাস মহাসড়ক, ফকিরহাট-খুলনা বাইপাস সড়ক, এবং খুলনা-মংলা রোড। এই সড়কগুলো দিয়ে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, এবং বরিশাল জেলায় সরাসরি যাতায়াত করা যায়। খুলনা রেল স্টেশন, রূপসা থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে অবস্থিত।<br><br> রূপসা উপজেলা উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত। এখানে ১০০ টিরও বেশি সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধর্মপ্রাণ হিসেবেও এই এলাকার পরিচিতি রয়েছে। এখানে ১৭৫টি মসজিদ, ৫৬টি মন্দির ও ২টি গির্জা রয়েছে।<br><br> রূপসা উপজেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস হল কৃষি (২৪.৯৯%)। কৃষি, মৎস উৎপাদন, এবং পশুপালন, এই উপজেলার প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। এখানে প্রচুর আবাদিজমি, হেচারি, এবং খামার রয়েছে। এছাড়াও এখানে প্রচুর কাঁচা বাজার, তৈজসপত্র, মসলা, এবং গ্রোসারি স্টোর রয়েছে। তাছাড়া, বাণিজ্য, পরিষেবা, রেমিট্যান্স, পরিবহন এবং যোগাযোগও সেখানকার মানুষের আয়ের উৎস।<br><br> উপজেলাটি তার অসাধারণ প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীরবিক্রম মহিবুল্লাহর স্মৃতিসৌধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের বসতভিটা, রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালা, রূপসা ফেরিঘাট ইত্যাদি। রূপসা নদী তীরে অবস্থিত ঘাট, ব্রিজ, আঠারোবাঁকী ইকো পার্ক, খান জাহান আলী ব্রিজ, ইত্যাদি এই এলাকার আকর্ষণী স্থান। তবে এই উপজেলায় আধুনিক শপিংমল কমপ্লেক্স ও বিনোদন কেন্দ্রের ঘাটতি রয়েছে।<br><br> বিভিন্ন ধরণের কর্ম সংস্থান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সুপার শপ, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ইত্যাদি গড়ে ওঠায় এই এলাকায় প্রচুর আবাসিক ভবন এবং স্থাপনা তৈরী হচ্ছে। তবে এখানে পথঘাট, পরিকল্পনা মাফিক আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ, এবং পরিবেশ দূষণের দিক থেকে উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
লালখান বাজার প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

লালখান বাজার
, চট্টগ্রাম

লালখান বাজার চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকা। এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং খুলশী থানার একটি অংশ। এলাকাটির নিকটেই রয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সেবা, ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, আমদানি-রপ্তানির সুবিধা, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন এবং বন্দর, যা এটিকে সবচেয়ে ব্যস্ত এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। কর্ণফুলী নদীও আমদানি-রপ্তানির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। <br><br> লালখান বাজার একটি সুপরিচিত বাজার এলাকা। এটি শহরের অন্যতম ব্যস্ততম বাজার। এখানে পোশাক থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী জিনিসপত্র থেকে অলঙ্কার, মসলা থেকে প্রসাধনী—প্রায় সবকিছুই পাওয়া যায়। এখানে অসংখ্য দোকান, বাজার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্দরনগরী হওয়ার পাশাপাশি চমৎকার যোগাযোগব্যবস্থা থাকায় এলাকা বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্র এবং পর্যটকদের জন্য ভ্রমণবান্ধব। <br><br> লালখান বাজার চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত। আন্তঃনগর বাসস্ট্যান্ড এবং রেলওয়ে স্টেশন এলাকাটির খুব কাছেই অবস্থিত। এছাড়াও, এখানে সর্বদা পাবলিক বাস, অটোরিকশা এবং ট্যাক্সি পাওয়া যায়। এলাকাটির দক্ষিণে আগ্রাবাদ এবং কোতোয়ালি থানা, উত্তরে লঞ্চ টার্মিনাল, পাঁচলাইশ এবং চকবাজার, পূর্বে রাউজান উপজেলা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলার সঙ্গে সীমানা দিয়ে আবদ্ধ। <br><br> এলাকা ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত সবদিক থেকে সমৃদ্ধ। জামিয়াতুল উলূম আল-ইসলামিয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় মাদ্রাসাগুলোর একটি। এখানে স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া, এলাকায় হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল, পার্ক এবং কমিউনিটি সেন্টারও রয়েছে। <br><br> লালখান বাজার একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত, চিকিৎসা এবং যোগাযোগের সুবিধার কারণে লালখান বাজার এলাকায় আবাসিক ভবনের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক আবাসিক সুবিধা উন্নত করার জন্য এখানে নতুন নতুন ভবন ও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মিত হচ্ছে। এলাকায় প্রয়োজনীয় সব সুবিধা—বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা—উপলব্ধ। যারা শহুরে পরিবেশে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে চান, লালখান বাজার তাদের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
শরীয়তপুর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

শরীয়তপুর
, ঢাকা

স্রোতস্বিনী পদ্মা নদীর কূল ঘেষে যে সকল অঞ্চল দাড়িয়ে আছে প্রায় শত বছর ধরে, শরীয়তপুর তাদের মধ্যে একটি। প্রায় ১,২০০ বর্গ কিলোমিটার জুরে বিস্তৃত ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এই জেলা ফরায়েজি আন্দোলনের পথিকৃৎ হাজী শরিয়তউল্লাহর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় রূপ নেয়। পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ সহ জেলার খাল-বিলগুলো এই জেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং কৃষি ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।<br><br> এই জেলার উত্তরে মুন্সীগঞ্জ, পশ্চিমে মাদারীপুর, দক্ষিণে বরিশাল বিভাগ এবং পূর্বে চাঁদপুর জেলা। শরিয়তপুর থেকে বাসযোগে এখন সরাসরি ভ্রমণ করা যায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, যশোর, গোপালগঞ্জ, বেনাপোলসহ আরো অনেক জেলায়। এছাড়া জলপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা তো আছেই।<br><br> ঐতিহাসিকভাবে, এই জেলা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চাল, গম, পেঁয়াজ, রসুন, এবং মাছ এখানকার প্রধান অর্থকরী পণ্য। এছাড়াও এখানকার অনেক মানুষ মৎস্য উৎপাদনের সাথে জড়িত। এই জেলার প্রচুর মানুষ বিদেশে কর্মরত আছেন। এখানকার প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রাও দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।<br><br> পদ্মা বহুমুখী সেতু, এই জেলার মানুষের জীবন জীবিকায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়াও পদ্মাসেতু ও সেতুর আশেপাশের এলাকা ঘিরে জমে উঠেছে অনেক ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।<br><br> শরীয়তপুরে মোঘল এবং ব্রিটিশ শাসনামলের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখা যায়। জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক কিছু স্থান এবং স্থাপনাগুলো হলো - ফতেহ জঙ্গপুর কেল্লা, ধানুকা মনসা বাড়ি, রুদ্রকর মঠ, শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ শিবা মন্দির ইত্যাদি। এখানকার আকর্ষণ টুরিস্ট স্পটগুলো হলো - পদ্মা সেতু ও সেতু ভিউ পয়েন্ট, মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম, শরীয়তপুর সদর উপজেলা মিনি পার্ক, পদ্মার লঞ্চ ঘাট, বুড়ির হাট জামে মসজিদ ইত্যাদি। শরীয়তপুরের লোকসংগীত, মেলা এবং স্থানীয় উৎসব, গ্রামীণ সংস্কৃতি ঐতিহ্য ধারণ করে। এই জেলার মানুষ তাদের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য পরিচিত।<br><br> সাম্প্রতিক সময়ে এই জেলায় উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। প্রচুর উদ্যোক্তা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। শপিংমল, সুপারশপ, এবং বিনোদন কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে। শিক্ষার মান এবং স্বাস্থ সেবাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করায়, এই এলাকায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। তাই উন্নত বাসস্থানের চাহিদাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।<br><br> শরীয়তপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ, এখানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমি কেনার জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করছে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে জেলায় বিশেষ করে পদ্মা সেতু এলাকায় সম্পত্তির দাম বহুগুন বেড়ে গেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
সাউথ সুরমা প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

সাউথ সুরমা
, সিলেট

দক্ষিণ সুরমা বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোপলিটান থানা। এটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অধীনে রয়েছে। নদী, স্থল এবং রেলপথ দ্বারা ভালোভাবে সংযুক্ত হওয়ায় এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। সিলেট জেলা তার সবুজ পরিবেশ, পাহাড়ি দৃশ্যপট এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত, যা এটিকে বাঙ্গালদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত করেছে। দক্ষিণ সুরমা তার সবুজ প্রকৃতি, চা-বাগান এবং পাহাড়ি ভূখন্ডের জন্য সুপরিচিত। এই এলাকার সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবাভাবিক ও সন্তোষজনক। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সুরমা থানা গঠিত হয় ও ২০০৫ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।<br><br> সুরমা নদী এই অঞ্চলে বসবাসয়াকারী মানুষের জন্য আশীর্বাদসরূপ। এই নদী সেচ ও পরিবহনসহ অন্যান্য দইন্নন্দিন প্রয়োজন পূরণ করে। এই এলাকার চা-বাগান এবং কৃষিজ পণ্য দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। চা-বাগান কেবল অরথনীতিতে অবদান রাখে না বরং দক্ষিণ সুরমার মনঃমুগ্ধকর সৌন্দর্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৃষি ছাড়াও এই এলাকা সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, যার মধ্যে রয়েছে আদিবাসী খাসি এবং মণিপুরী জনগোষ্ঠী। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ঐতিহ্য, ভাষা এবং সংস্কৃতি রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
হাটহাজারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.8

হাটহাজারী
, চট্টগ্রাম

হাটজারি চট্টগ্রাম জেলার একটি জনবহুল এবং প্রাণবন্ত উপজেলা, যা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, যোগাযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-কোর্ট, বাসস্থান ইত্যাদি জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সবুজ প্রকৃতি এবং পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত হ্টজারি অঞ্চলটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। এখানে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি অনন্য সমন্বয় এবং বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনযাত্রার দেখা মেলে। <br><br> হাটজারির উত্তরে ফটিকছড়ি উপজেলা, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চলাইশ ও চাঁদগাঁও পুলিশ স্টেশন, পূর্বে রাউজান উপজেলা এবং পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলা অবস্থিত। উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিভক্ত, প্রতিটি ইউনিয়ন কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এখানে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা, যা হাটজারি মাদরাসা নামেও পরিচিত, দেশের অন্যতম সেরা এবং বৃহত্তম কওমী মাদরাসা। হাটজারি একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে, যা প্রচলিত বাঙালি সংস্কৃতি এবং ইসলামিক প্রভাবের মিশ্রণ। <br><br> হাটজারির অর্থনীতি মূলত বাণিজ্য এবং কৃষির উপর নির্ভরশীল। উপজেলায় ছোট এবং বড় ব্যবসা ও বাজারের একটি বৈচিত্র্য রয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে। এলাকার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, পশু চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। <br><br> হাটজারিতে একটি সেনা ক্যাম্প, পুলিশ স্টেশন এবং দমকল বাহিনী রয়েছে। এই এলাকার পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। চট্টগ্রাম শহর এবং আশেপাশের অন্যান্য এলাকার সাথে এর সংযোগ যথেষ্ট ভালো। এটি দেশের প্রধান শহরগুলোর সাথে বাস এবং রেলওয়ে দ্বারা ভালোভাবে সংযুক্ত। <br><br> এই অঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থা খুবই ভালো, সুন্দর পরিবেশ, ভালো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং নিরাপত্তার জন্য। বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, হাটজারিতে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভবন, আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে গড়ে উঠছে। গ্রামীণ এবং শহুরে পরিবেশের এক আকর্ষণীয় মিশ্রণ এবং সুবিধাগুলির কাছাকাছি অবস্থান, এই অঞ্চলটিকে বেশ জনবহুল করে তুলেছে, যেখানে আবাসিক ভবনগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
আফতাব নগর প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

আফতাব নগর
, ঢাকা

আফতাবনগর বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় অবস্থিত একটি দ্রুত উন্নয়নশীল এবং ডায়নামিক স্থান। এর অপর নাম জহুরুল ইসলাম সিটি। আফতাবনগর ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার একটি আবাসিক এলাকা। আফতাবনগরের উত্তরে মেরুল বাড্ডা এবং দক্ষিণে রামপুরা থানা। আফতাব শহরের পোস্টাল কোড হল ১২১২ এবং এটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।<br><br> আফতাবনগর মূলত আবাসিক কমপ্লেক্স, অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এবং গেটেড কমিউনিটি নিয়ে গঠিত। তবে বর্তমানে এটি বাণিজ্যিক এবং উন্নত অবকাঠামোর কারণে বিশেষভাবে পরিচিত। ঢাকার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই এলাকায় তুলনামূলকভাবে আধুনিক অবকাঠামো রয়েছে। আবাসিক কমপ্লেক্সগুলি প্রায়শই পার্ক, খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার এবং নিরাপত্তা পরিষেবার মতো সুবিধা প্রদান করে।<br><br> আফতাব নগরে সেরা মানের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, শপিং সেন্টার এবং রেস্তোরাঁ সহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি এবং স্যানিটেশনের মতো পাবলিক ইউটিলিটিগুলিরও একটি ভাল ব্যবস্থা রয়েছে। বাড্ডা থানার আওতাধীন এলাকা হিসেবে ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা বাসস্থানের নিরাপত্তা প্রদান করেন। আফতাবনগর প্রধানত একটি শহুরে এলাকা কিন্তু বর্তমানে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য সবুজ স্থানগুলিকে লোকালয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।<br><br> যদিও এলাকাটি মূলত আবাসিক হিসেবে পরিচিত ছিল, তবে এটি এখন একটি মিশ্র-অর্থনীতির কেন্দ্র এবং প্রাণবন্ত শহর হিসেবে পরিচিয় লাভ করছে। সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে এলাকাটি ঢাকার অন্যান্য অংশের সাথে ভালোভাবে যুক্ত। বাস, রিকশা এবং রাইড শেয়ারিং এর মত পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য উল্লেখযোগ্য। আফতাবনগর বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক পটভূমির লোকদের সমন্বয়ে একটি মিশ্র সম্প্রদায়ের আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সমাবেশ এবং ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয় যা বাসিন্দাদের মধ্যে সম্প্রীতি জাগিয়ে তোলে এবং বহিরাগতদের আকৃষ্ট করে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
এলিফ্যান্ট রোড প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

এলিফ্যান্ট রোড
, ঢাকা

এলিফ্যান্ট রোড, যা একটি কোলাহলপূর্ণ রাস্তা, শাহবাগ রোড এবং ন্যাশনাল সায়েন্স ল্যাবরেটরির মধ্যে অবস্থিত। নিউমার্কেট থানার মধ্যে অবস্থিত, এলিফ্যান্ট রোডে ১৮টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬৭,৪৩৯ জন লোক বাস করে এবং এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অংশের মধ্যে পড়ে।<br><br> যাইহোক, যখন আমরা এলিফ্যান্ট রোডের কথা ভাবি, তখন আবাসন বা আশেপাশের ছবিগুলি খুব কমই আমাদের মাথায় আসে। এলিফ্যান্ট রোড এরিয়া গাইড সবসময় এলিফ্যান্ট রোডের ফোকাল পয়েন্টে ফোকাস করে। ব্যবসা এবং উদ্যোগের অনন্য বৈচিত্র্যের শহর এটি। ৮০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে এখন পর্যন্ত, এই এলাকাটি ঢাকাবাসীর জন্য অন্যতম সেরা কেনাকাটার গন্তব্য।<br><br> আসুন একটি কাল্পনিক টাইম মেশিনের ঢুকে যাই এবং এটি কোথা থেকে এমন একটি অনন্য নাম পেয়েছে তা জানতে চেষ্টা করি। ব্রিটিশ আমলে ঢাকায় প্রচুর হাতি ছিল এবং তাদের চরানো ছিল দুঃসাধ্য কাজ। সমস্যা সমাধানের জন্য রমনার পাশের লেকগুলোকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পিলখানা থেকে রমনা পর্যন্ত এই হাতিগুলো রাস্তা পার হতো যা এখন এলিফ্যান্ট রোড নামে পরিচিত।<br><br> এলিফ্যান্ট রোডের পিনপয়েন্টে, "বাটা সিগন্যাল" নামে একটি জনপ্রিয় মোড় রয়েছে। এই নামটি এসেছে বাটা, জুতার ব্র্যান্ডের বড় শোরুম থেকে। বলাই বাহুল্য, এমন অসংখ্য দোকান ও দোকান রয়েছে যেগুলোতে খুব সস্তায় বিভিন্ন ধরনের জুতা বিক্রি হয়। যাইহোক, এখানে, আপনাকে দর কষাকষির খেলা শিখতে হবে।<br><br> মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার হল একটি জায়গা যা এলিফ্যান্ট রোডকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ল্যাপটপ থেকে ডেস্কটপ পর্যন্ত প্রতিটি ইলেকট্রনিক প্রয়োজনের জন্য এই কেন্দ্র একটি কেন্দ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের কাছাকাছি হওয়ার কারণে, এলিফ্যান্ট রোড জামাকাপড়, চশমা, দোকান এবং ইলেকট্রনিক্সের জন্য এক-স্টপ শপিং সমাধান হয়ে উঠেছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
ওয়ারী প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

ওয়ারী
, ঢাকা

ঢাকার ওয়ারী এলাকা আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত। এটি আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, সরকারী ও বেসরকারী অফিস, সুপার শপ, শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একটি ব্যস্ত এলাকা। এটি মতিঝিল, গুলিস্তান, গোপীবাগ, ইস্কাটন, রমনা এবং পুরান টাউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দ্বারা বেষ্টিত।<br><br> ওয়ারির ইতিহাস অনেক পুরানো, এবং মুঘল ও ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই এই এলাকার আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি বৈচিত্র্যময়। এই এলাকার স্থাপত্য, ঐতিহ্যবাহী কাঠামো এবং রন্ধনপ্রণালী কেবল অতুলনীয়। এটি ঢাকার প্রথম পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। সরু গলি এবং জনাকীর্ণ এলাকা সত্ত্বেও, এলাকাটি যত্ন সহকারে ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এখানে আপনি ঐতিহ্যগত পুরানো চেহারা এবং আধুনিক জীবনধারার সমন্বয় পাবেন।<br><br> ব্রিটিশ আমলে এই এলাকার আধুনিকায়ন শুরু হয়। তখন এটি ছিল ধনী, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষিত লোকদের একটি বড় বসতি। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে নান্দনিক আবাসন প্রকল্প, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অ্যাপার্টমেন্ট এবং উন্নয়ন প্রকল্প আসছে। পুরো এলাকা দুটি ভাগে বিভক্ত- পুরাতন ওয়ারী এবং নতুন ওয়ারী।<br><br> এই এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জা রয়েছে, এই উপাসনালয়ের প্রতিটিই স্থাপত্যের নিদর্শন। সবজি, জামাকাপড় এবং ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে মশলা পর্যন্ত বিস্তৃত পণ্য এখানে পাওয়া যায়। ঢাকা শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু এই এলাকায় যানজট, দূষণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামোর মতো সমস্যাও রয়েছে।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
কানাইঘাট প্রপার্টি গাইড
Rating icon
3.7

কানাইঘাট
, সিলেট

কানাইঘাট, সিলেট জেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। সুরমা নদী, এবং লুবাছড়া নদী, এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। চা বাগান, পাহাড় এবং জলাশয়ে ঘেরা এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই মনোরম। এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষি পণ্য, পর্যটন এবং রেমিট্যান্স, দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। এই অঞ্চলের কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, এবং বেতশিল্প সারা দেশে জনপ্রিয়।<br><br> কানাইঘাট পূর্বে জৈন্তিয়া রাজ্যের অধীনে ছিল। কথিত আছে সুরমা নদীতে কানাই নামে একজন নৌকাচালকের নামানুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে কানাইঘাট। তবে, এই গল্পের শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। কানাইঘাট উপজেলা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৮৮০ সাল থেকেই এটি সিলেটের একটি থানা ছিল। বর্তমানে, উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন এবং ২৫০টি মৌজা রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ৪১২.২৫ বর্গকিলোমিটার।<br><br> এই উপজেলার উত্তরে জৈন্তাপুর উপজেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভারতের আসাম, পশ্চিমে গোয়াইনঘাট উপজেলা ও সিলেট সদর উপজেলা। কানাইঘাট সড়ক, এবং জাকিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক এখানকার প্রধান দুটি সড়ক। এছাড়াও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এই উপজেলার পাশে দিয়েই গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বেষ্টিত হওয়ায়, কানাইঘাট উপজেলার সাথে সারা দেশে যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহন সুবিধাজনক। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন যোগাযোগ রুট ছাড়াও, কানাইঘাট থেকে সীমান্তের বাইরেও পরিবহন সুবিধা রয়েছে।<br><br> এখানে ১৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কানাইঘাট সরকারি কলেজ, কানাইঘাট মহিলা কলেজ, দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জামেয়া ইসলামিয়া ইউসুফিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ঝিঙ্গাবাড়ি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ইত্যাদি। এই উপজেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্রীড়া ক্লাব, ধর্মীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রয়েছে।<br><br> কানাইঘাটের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম, তাই এই অঞ্চলে আপনি প্রচুর মসজিদ দেখতে পাবেন। উপজেলা জুড়ে ৪৭০টিরও বেশি মসজিদ রয়েছে, এছাড়াও ৩০টি মন্দির এবং ২টি গির্জা রয়েছে। এই অঞ্চলে অনেক পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করেন। যাদের কৃষ্টি-কালচার স্বতন্ত্র, আপনাকে মুগ্ধ করবে। এই অঞ্চলের মানুষজন খুবই পরিশ্রমী এবং অতিথি পরায়ন।<br><br> কানাইঘাটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো পাথর। সরকার উপজেলার লোভাছড়া পাথর খনি থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করে। এছাড়াও, কৃষি হলো উপজেলার মানুষের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস। অন্যান্য অর্থনৈতিক উৎসের মধ্যে রয়েছে অকৃষি শ্রম, ব্যবসা, শিল্প, চাকরি ও সেবা, রেমিট্যান্স ইত্যাদি। এখানকার চা, পানপাতা, পাথর, এবং বালু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।<br><br> কানাইঘাট উপজেলায় অনেক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সুরমা নদী, অন্ডাল বিল, তামাবিল স্থলবন্দর, সাতবাক আন্দু হ্রদ, লোভাছড়া চা বাগান ও পার্ক, পূর্ব বরচাতোলা রাবার বাগান, ইত্যাদি স্থানগুলো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। রাত্রি যাপন এবং ছুটি কাটানোর জন্য এখানে অনেক রিসোর্ট এবং হোটেল রয়েছে।<br><br> বসবাস করার জন্য এই অঞ্চলটি মনোরম হলের, উপজেলার ভিতরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়। গ্রামগুলোর বেশিরভাগ কাঁচা রাস্তা, মফঃস্বলের রাস্তাগুলোও বেশি প্রশস্থ নয়। এমনকি উপজেলা সদর এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত এবং গর্তযুক্ত। এই উপজেলায় রেলপথ সংযোগও নেই।
অন্তর্দৃষ্টি দেখুন
IconMap

ফিচারড প্রজেক্ট

সবগুলো দেখুন

Bangladesh-এর প্রপার্টি প্রাইস ট্রেন্ড

কেনা
ভাড়া
বেডরুম:
গড় মূল্য (বিগত ১২ মাসের)
BDT 6,417.32 per sqft
বিগত ১২ মাসের বৃদ্ধি
3.75%
Positive Trend
বিগত ৩ মাসের বৃদ্ধি
2.48%
Positive Trend
Icon
দ্রষ্টব্য: মূল্য তথ্য Bikroy-এর পোস্ট করা বিজ্ঞাপন থেকে ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। সম্পূর্ণ মার্কেটের ডায়নামিক প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
hero

Bikroy এ বিক্রি বা ভাড়া দিন: মাত্র ২ মিনিটেই প্রপার্টির বিজ্ঞাপন দিন!